স্পোর্টস ডেস্কঃ
বাংলাদেশ দলকে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু আগামী বছর নিউজিল্যান্ড সফরে গোলাপি বলে খেলতে দেখা যাবে না টাইগারদের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তাদের আরও সময় প্রয়োজন। গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে প্রয়োজন ঘরোয়া ক্রিকেটের ভিন্ন কাঠামো। যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হবে ফ্লাড লাইটে। বাংলাদেশ এখনও সেই রীতি চালু করেনি। ভারতে চালু থাকলেও ফ্লাড লাইটের নিচে টেস্ট খেলতে আগ্রহী নয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বাংলাদেশ ও ভারতই কেবল ফ্লাড লাইটের নিচে এখনও টেস্ট খেলেনি। জিম্বাবুয়েরও রয়েছে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। আর আইসিসির নবীন পূর্ণসদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান মাত্রই টেস্ট খেলা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাবের পর আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ছেলেদের দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার সুযোগ হয় না ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেই বোধ থেকেই আমরা এই মুহূর্তে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি হইনি।
বিসিবি চাইছে ঘরোয়া ক্রিকেটে চারদিনের ম্যাচে এর প্রয়োগটা আগে ঘটুক। এরপর ঘরোয়া কোনও সিরিজে একটি ম্যাচ দিবা-রাত্রিতে খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির ম্যাচে প্রস্তুতি সেরেই গোলাপি বলে টেস্ট খেলছে দলগুলো।
২০১৫তে প্রথমবার দিবারাত্রির টেস্টে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫টি দিবা-রাত্রির ম্যাচ খেলে অজিরা। ইংল্যান্ডেও প্রথমবার দিবারাত্রির টেস্টে মাঠে নামার আগে ইংলিশরা ঘরোয়া কাউন্টি আসরে খেলে নেয় গোলাপি বলে ১১ ম্যাচ।
ভারতীয়রা এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেললেও এখনও দিবারাত্রির টেস্টে খেলতে আগ্রহী নয়।
নিজাম উদ্দীন বলেন, আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলতে চাই। এরপরেই ঘরের মাঠে একটি টেস্ট আয়োজন করবো গোলাপি বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ছেলেরা ফিরলে আমরা পলিসি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর করবে টাইগাররা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তিনটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে দুদল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ তিন টেস্টের সিরিজ খেলবে প্রথমবার। কিউইদের বিপক্ষে আগে কোনো সিরিজে দুটির বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি টাইগাররা। আর বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলেছে সাকুল্যেই তিনবার (২০০৩ পাকিস্তান, ২০০৭ শ্রীলঙ্কা ও ২০১৪ জিম্বাবুয়ে)।
-আরবি