বিনোদনঃ
প্রথ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই। মঙ্গলবার ভোর চারটায় ঢাকার আফতাব নগরে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাসায় অসুস্থ্য হয়োর পরে তাকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মি: বুলবুল গত প্রায় এক বছর ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল।
তিনি ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বুলবুল ছিলেন একাধারে গীতিকার সুরকার এবং সংগীত পরিচালক।
বাংলাদেশের কয়েকশ চলচ্চিত্রে বুলবুল সংগীত পরিচালনা করেছেন। এসব গান দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এক সময় তাঁর সুরকরা গানগুলো ছিল শ্রোতা-দর্শকদের মুখে-মুখে।
তাঁর লেখা এবং সুরকরা বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা এবং সামিনা চৌধুরী।
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’ – এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর করেছেন তিনি।
বুলবুল মাত্র ১৫ বছরে বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, রাষ্ট্রপতির পুরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন।