স্বাস্থ্যঃ
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
আজ বিএসএমএমইউর মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য তার লিখিত বক্তৃতায় গণস্বাস্থ্যের কিটের মূল্যায়নে তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বলেন,এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে কার্যকরী নয়।
উপসর্গের প্রথম সপ্তাহে গণস্বাস্থ্যের কিট ব্যবহার করে ১১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব হতে পারে। তবে যে সব স্থানে আরটিপিসিআর পদ্ধতি চালু নেই অথবা কোভিড উপসর্গ থাকা সত্বেও আরটিপিসিআর নেগেটিভ এসেছে তাদের ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
অন্যদিকে,গণস্বাস্থ্যের এই কিটটি কোভিড রোগের ব্যাপ্তি দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের ইতোপূর্বে কোভিড রোগ হয়েছিল (তৃতীয় সপ্তাহ বা তার পরে)তাদের সনাক্ত করা সম্ভব।
এই তথ্য কোভিড প্লাজমা বিতরণ কোয়ারিন্টেন সমাপ্তির সময় নির্ধারণ এবং লকডাউন উত্তোলনের রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তৃতীয়ত,এই কিটটি এন্টিবডি শনাক্ত করতে পারলেও আইজিএম (যা শরীরে ইনফেকশনের শুরুতেই তৈরি হয়) এবং আইজিজি (যা ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ে তৈরি হয়) আলাদাভাবে পার্থক্য করতে পারে না।
সংবাাদ সম্মেলনের আগে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি এই প্রতিবেদন পেশ করেন।
এ সময় অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান (উপ-উপাচার্য;শিক্ষা),অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম (উপ-উপাচার্য, প্রশাসন),অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন (উপ-উপাচার্য, গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-বাসস