অনলাইনঃ
প্রায় দুই মাস পর রাজধানীতে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। সেই সাথে সারাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে দূরপাল্লার পরিবহনও।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকার মধ্যেই আজ ১ জুন, সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়।
এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ইজিবাইক চলাচলও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষই সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে চলাচল করছেন।
তবে এই সময়ে গণপরিবহন চলাচলে অর্ধেক আসন খালি রাখাসহ ১১টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে সরকার। সেই সাথে বাসের ভাড়া সমন্বয় করে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিরও ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নতুন এই বাড়তি ভাড়া নিয়েই চলাচল করছে গণপরিবহন।
রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতে একটি সিটে যাত্রী অপরটি ফাঁকা রেখে যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ঢাকাগামী বাসেও একইভাবে যাত্রী তোলা হচ্ছে।
তবে উল্টো চিত্র রাজধানীতে। ঢাকার বেশিরভাগ বাসেই সকল সিটে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যাচ্ছে। সেইসাথে গাদাগাদি করে আগের মতোই দাঁড়িয়েও চলাচল করতে দেখা যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে সতর্ক অবস্থায়। সড়কে যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততম সিগন্যালে কিছুক্ষণ পরপর তাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল ৩১ মে, রবিবার জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কম যাত্রী তুলতে হবে বাসে এবং মালিকদের ক্ষতি পোষাতে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে বলা হয়, দূরপাল্লার পথে বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বর্ধিত ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া দূরপাল্লার পথে থাকা সড়ক ও সেতুর টোলও মোট ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে।
-ডিকে