আইন আদালতঃ

নড়াইলের আদালতে দায়ের করা মানহানির মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী (নিয়মিত) জামিন পেয়েছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

আজ ১২ মার্চ, বৃহস্পতিবার তার জামিনের এ আদেশ দেন বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও  বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবীনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রায়ের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদি হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আদালতে মানহানির এ মামলাটি দায়ের করেন।

বিবরণে আরো জানা যায়, ওই বছর ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে খালেদা জিয়া ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে’ বলে মন্তব্য করেন।

ওই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে ক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি করেন রায়হান ফারুকী ইমাম।

এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।

২০১৮ সালের ৫ আগস্ট নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে না নামঞ্জুর করেন আদালত।

এরপরে ৯ আগস্ট হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত ওই বছরের ১৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily