অনলাইন রিপোর্টঃ
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা গয়েবের বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে কয়লা চুরির সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
দুই মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার রাত ১২টার পর থেকে কয়লার মজুদ না থাকায় দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পিডিবি। আর এর পরেই নজরে আসে কয়লা গায়েব হওয়ার ব্যাপারটি।
সোমবার বিকেলে বিষয়টির তদন্তে খনি ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন দুদকের ৪ সদস্যের দল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের কয়লা উধাও হওয়ার বিষয়টিতে দুর্নীতির সত্যতার কথা জানান তারা।
ওই খনিতে এ মুহূর্তে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদের কথা থাকলেও মাত্র দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে বলে জানান, দুদকের দিনাজপুরের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ।
কয়লা গায়েবের ঘটনায় এরই মধ্যে বড়পুকুরিয়া খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ও উপ-মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিবকে প্রত্যাহার করেছে পেট্রোবাংলা।
এদিকে রোববার রাত থেকে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক ৫শ ২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কায় রয়েছে রংপুর বিভাগের আট জেলা। কয়লা সঙ্কটের জন্য খনি কর্তৃপক্ষের ব্যাপক দুর্নীতিকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
-আরবি