সারাদেশঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দুই দফা সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেছেন, চাপরাশিরহাটে তাঁর লোকজনের ওপর সাংসদ একরাম চৌধুরী ও সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, হামলায় তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তাঁর চাপরাশিরহাট-সংলগ্ন বাড়িতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে সভা শেষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল চাপরাশিরহাট বাজারের দিকে যায়।
মিছিলটি বাজারের মাঝামাঝি যাওয়া মাত্র সেখানে অবস্থানকারী কাদের মির্জার অনুসারী চরফকিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা বাধা দেন এবং হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে দুটি মাইক্রোবাস ও শতাধিক মোটরসাইকেলযোগে তাঁর অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজার-সংলগ্ন মিজানুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালালে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই দফা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন ওরফে মোজাক্কির ‘বাংলাদেশ সমাচার’ পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. ফরহাদ, আবদুল অমিত, মো. কাঞ্চনের নাম জানা গেছে।
আব্দুল কাদের মির্জার লাইভ লিংক https://www.facebook.com/abdul.quader.1428/videos/858939427984522
সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তিনি দলীয় কর্মীদের নিয়ে শনিবারের একটি কর্মসূচির বিষয়ে বাড়িতে মতবিনিময় সভা করেন। সভা শেষে চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল নিয়ে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান জামালের নেতৃত্বে প্রথম হামলা হয়। এরপর দ্বিতীয়বার কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে তাঁর অনুসারী বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন মিজানুর রহমান।
-ডিকে