অনলাইনঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ নিয়োগ দিয়েছেন। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সিনিয়র সচিব। বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কর্মজীবন শুরু করেন জেলা মুনসেফ হিসেবে।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেন। সিইসির দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সবশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
তার নাম প্রস্তাব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
একজন দক্ষ, মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে সুপারনিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্মসচিব এবং পরে প্রতিরক্ষাসচিব হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তারা হলেন সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব আলমগীর হোসেন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান ও সাবেক জেলা জজ রাশিদা সুলতানা।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর সার্চ কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ১০ জনের নামের তালিকা হস্তান্তর করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন জানান, খুব শিগগিরই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। শেষ বৈঠকে গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে সার্চ কমিটি।
-টিপু