বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঃ

বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষই গৃহবন্দি। আর এই গৃহবন্দি অবস্থাতেই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক অদ্ভুত দৃশ্য। আগামীকাল ৮ এপ্রিল আকাশে দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘সুপার পিঙ্ক মুন’।

এশিয়ার এই অঞ্চলে ৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে এই সুপার পিঙ্ক মুন দেখা যাবে। যদিও বাংলাদেশ থেকে এই চাঁদ সরাসরি দেখা যাবে না। অনদিকে উত্তর আমেরিকাতে ৭ এপ্রিল রাত থেকেই দেখা মিলবে এই চাঁদের। আকাশে বিরাট বড় উজ্জ্বল এক গোলাপি রঙের থালার মতো দেখাবে চাঁদকে। অবশ্য এ বছর এটাই প্রথম সুপার মুন নয়। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসেও দুটি সুপার মুন দেখা গিয়েছিল।

কী এই সুপার মুন

নিজের কক্ষপথ ধরে পৃথিবীর চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে চাঁদ। আর এই প্রদক্ষিণ করতে করতেই একটা নির্দিষ্ট সময় পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসে চাঁদ। সেই সময় আকাশে একটা বিশাল আকারের থালার মতো দেখায় চাঁদকে। একেই বলে সুপার মুন।

এমনিতে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু আগামী ৮ এপ্রিল এই দূরত্ব কমে হবে ৩ লাখ ৫৬ হাজার কিলোমিটার। ফলে ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে চাঁদকে। 

গত ২০ বছরে মোট ৭৯টি সুপার মুন দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি তিন মাসেই একটি করে সুপার মুন দেখা গেছে। তাই এ বছরও আরও সুপার মুন দেখা যাবে। তবে বছরে সবচেয়ে বড় সুপার মুন একটাই হয়। সেটাই হতে চলেছে ৮ এপ্রিল।

কীভাবে হয় এই সুপার মুন

চাঁদ যে কক্ষপথ ধরে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তার আকার গোল নয়, উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরার জন্য সবসময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব সমান থাকে না। যখন পৃথিবীর খুব কাছে চাঁদ এসে পৌঁছায়, তখনই তাকে সুপার মুন বলে। অন্যদিকে চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব যখন সবথেকে বেশি হয়, তখন তাকে বলা হয় মাইক্রো মুন।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসে একটা সময় চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। তাই প্রতি মাসেই সুপার মুনের একটা আলাদা নাম থাকে। এ বছরও জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটা সুপার মুনের আলাদা নাম রয়েছে। 

জানুয়ারি মাসে বলা হয় উল্ফ মুন, ফেব্রুয়ারিতে বলা হয় স্নো মুন, মার্চে বলা হয় ওয়ার্ম মুন, এপ্রিল মাসের সুপার মুনের নাম পিঙ্ক মুন, মে মাসে বলা হয় ফ্লাওয়ার মুন, জুন মাসের নাম স্ট্রবেরি মুন, জুলাই মাসে একে বলা হয় বাক মুন, আগস্ট মাসের সুপার মুনের নাম স্টারজিয়ন মুন, সেপ্টেম্বর মাসের নাম কর্ন মুন, অক্টোবরে একে বলা হয় হান্টার্স মুন, নভেম্বরে এর নাম বিভার মুন ও ডিসেম্বরের সুপার মুনকে বলা হচ্ছে কোল্ড মুন। অর্থাৎ এ বছর কোনও ব্লাড মুন নেই।

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily