অনলাইনঃ
অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে নির্ধারিত আবেদন ফি ও রেজিস্ট্রেশন ফি ঘরে বসেই পরিশোধের সেবা চালু করেছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর দিন থেকেই অনলাইনে আবেদনের পর ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ১৫০ টাকার ফি প্রদান করা যাচ্ছে। প্রথম থেকেই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ফি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যপক সাড়া পড়েছে।
‘নগদ’ অ্যাপ, ইউএসএসডি ব্যবহার করে অথবা উদ্যোক্তা পয়েন্ট থেকে সহজেই একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন ফি পরিশোধ করা যাচ্ছে। করোনার মতো অতিমারির সময়ে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ডিজিটাল পদ্ধতির এই পেমেন্ট সকলকে সুস্থ ও নিরাপদে থাকার সুবিধা দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৪টি এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আরো ২৮,৩৬৪টি ভর্তি আবেদনের ফি প্রদান করা হয়েছে।
আবেদনের পর ২৬ আগস্ট থেকে যখন অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে তখনও ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ২০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করা যাবে। তবে রেজিস্ট্রেশন বা নিশ্চয়ায়নের সময় ২০০ টাকার সঙ্গে ২.৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
চলতি বছর দেশের সবগুলো শিক্ষা বোর্ডের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তাদের
http://www.xiclassadmission.gov.bd লিংকে গিয়ে নির্ভুল তথ্য দিয়ে আবদেন করতে হবে।
অ্যাপ থেকে আবেদন ফি প্রদান প্রক্রিয়া:
‘নগদ’ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদানের ক্ষেত্রে অ্যাপের ‘বিল পে’তে গিয়ে ঢও ঈষধংং অফসরংংরড়হ অপশনে যেতে হবে। তারপর রোল নম্বর, সাল, বোর্ডের নাম এবং যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এরপর সব তথ্য আবার যাচাই করে ঘবীঃ বাটনটি ট্যাপ করতে হবে। পরের ধাপে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর টাইপ করে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই পেমেন্ট সম্পন্ন হবে। সফলভাবে পেমেন্ট হয়ে গেলে গ্রাহক একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।
ইউএসএসডি ব্যবহার করে আবেদন ফি প্রদান প্রক্রিয়া:
যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না তারা *১৬৭# ডায়াল করলে একটি মেন্যু পাবেন। যেখান থেকে ৫ নম্বও মেন্যু চেপে ‘বিল পে’ সিলেক্ট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে নতুন আরেকটি মেন্যু আসবে, যেখানে ৬ নম্বরে ‘এডুকেশন’ সিলেক্ট করতে হবে। চতুর্থ ধাপের মেন্যুতে ২ বা ঢও ঈষধংং অফসরংংরড়হ সিলেক্ট করে একে একে পরের মেন্যুগুলোতে প্রথমে রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল, যোগাযোগের মোবাইল নম্বর, টাকার পরিমাণ (১৫০ টাকা), এরপর ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের চার ডিজিটের গোপন পিন নম্বর দিলে পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরপর এসএমএস-এর মাধ্যমে কনফার্মেশন চলে আসবে।
আবেদন ফি প্রদান সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে ’নগদ’-এর সহযোগিতার জন্য কল করা যাবে ১৬১৬৭ নম্বরে।
সূচি অনুযায়ী, ভর্তির জন্য প্রথম দফায় অনলাইনে আবেদন করা যাবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ২৫ আগস্ট। ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন বা নিশ্চায়ন করা যাবে।
অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হতে পেওে গোটা ‘নগদ’ পরিবার নিজেদের গর্বিত বলে বলে মনে করছে বলে জানান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল সেবা প্রতিটি মানুষের কাছে যাতে সহজে পৌঁছে যেতে পাওে সেই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘নগদ’ সব সময় কাজ করছে। সে কারণে সেবামূলক সকল কাজে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই ‘নগদ’ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কলেজে ভর্তিও ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে ফি গ্রহণ নিঃসন্দেহে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এটি একই সঙ্গে কোভিড সংক্রমণ রোধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়াটি সামনের দিনে আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনেও বড় ভূমিকা পালন করবে।”
মাত্র দেড় বছর আগে যাত্রা শুরু হলেও ইতিমধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সব সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে ‘নগদ’। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন ‘নগদ’ ওয়ালেট থেকে সহজেই টিউশন ফি প্রদান করা যাচ্ছে। তাছাড়া ইন্টারনেটসহ নানা ধরনের সেবার বিল পরিশোধ এবং কেনাকাটার বিল প্রদানের ক্ষেত্রেও গ্রাহকের প্রধান পছন্দ হিসেবে ‘নগদ’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
-শিশির