আন্তর্জাতিকঃ
ভারতের ১০টি রাজ্যের ২৪ আসনে আজ নির্বাচন। গত মার্চে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও লকডাউনের কারণে তা পিছিয়ে যায়।
২৪ আসনের মধ্যে ৪টি করে আসন অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের। ২টি আসন ঝাড়খণ্ডের৷ ৩টি করে আসন মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের৷
এছাড়া মণিপুর ও মেঘালয়ের ১টি করে আসন রয়েছে৷ অন্যদিকে ৪টি আসন কর্নাটকের এবং ১টি করে আসন অরুণাচলপ্রদেশ ও মিজোরামের৷ সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের আরও প্রায় ৩০টি আসনের প্রয়োজন রয়েছে।
সকাল ৯ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সবচেয়ে কঠিন লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা গুজরাটের ১টি, রাজস্থানের ১টি এবং মধ্যপ্রদেশের ১টি আসনকে কেন্দ্র করে। খবর এনডিটিভির।
করোনা পরিস্থিতিতে এই ভোটগ্রহণ ঘিরে সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক ভোটদাতার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে এবং তাদের মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। জ্বর জ্বর ভাব থাকলে বা করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য লক্ষণ কারও শরীরে দেখা গেলে তাকে আলাদা ওয়েটিং রুমে রাখা হবে।
রাজ্যসভার ২৪৫ টি আসনের মধ্যে এনডিএর ৯১টি, ইউপিএর ৬১টি আসন রয়েছে, অন্য বিরোধী দল ও নিরপেক্ষ দলগুলো মিলে রয়েছে আরও ৬৮টি আসন। আজকের নির্বাচনে নজর মূলত যে প্রার্থীদের দিকে থাকবে তারা হলেন গুজরাটের শক্তি সিং গোহিল এবং ভারত সিং সোলাঙ্কি, মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং দিগ্বিজয় সিং এবং রাজস্থানের কেসি ভেনুগোপাল।
সবচেয়ে জটিল অবস্থা গুজরাটে। সেখানে গত মার্চ থেকে ৮ জন বিধায়ক কংগ্রেস দল ছেড়েছেন। গুজরাটের ৪টি আসনের জন্য বিজেপি ৩ জন প্রার্থীর নাম নথিভুক্ত করেছে। কংগ্রেস নথিভুক্ত করেছে ২ জন প্রার্থীর নাম। বিজেপির ৩ প্রার্থী হলেন অভয় ভরদ্বাজ, রামিলাবেন বারা এবং নরহরি আমিন। বিপরীতে কংগ্রেসের দুই প্রার্থী হলেন শক্তিসিং গোহিল এবং ভারত সিং সোলাঙ্কি। গুজরাটে জয় পেতে একজন প্রার্থীর ৩৪টি ভোটের প্রয়োজন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন ১৭টি রাজ্য জুড়ে মোট ৫৫টি আসনে ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করে। মার্চ মাসেই, ১০টি রাজ্যের ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর ২৬ মার্চ যে আসনগুলোর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
-কেএম