আন্তর্জাতিকঃ
করোনা রোধের আনুষ্ঠানিক চিকিৎসার পরীক্ষা শুরু করেছে কানাডা। এন্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন এবং ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকোইন সেবনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় কী না, তা জানা যাবে শীঘ্রই। মঙ্গলবার থেকে হ্যামিল্টনে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

হেলথ কানাডা এ ক্লিনিক্যাল টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে।

হ্যামিল্টনের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০০ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে পরীক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে রেখে আরো ১ হাজার রোগীকে এই পরীক্ষার আওতায় চিকিৎসা দেয়া হবে।

গবেষক দলের অন্যতম ড. সোনিয়া আনন্দ মঙ্গলবার প্রথম রোগীকে এই ওষুধ সেবন করতে দিয়ে এক টুইট বার্তায় উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির পপুলেশন হেলথ রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং হ্যামিল্টন হেলথ সায়েন্স সম্মিলিতভাবে এ ক্লিনিক্যাল টেস্ট শুরু করেছে।

৫০০ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে এবং ১০০০ জনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে। দ্বৈব চয়নের ভিত্তিতে এই রোগীদের মধ্য থেকে কাউকে এই ওষুধের মিশ্রণ এবং কাউকে থেরাপি দিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করা হবে। গবেষকরা দেখবেন কোন প্রক্রিয়াটি কার্যকর এবং নিরাপদ।

এই উদ্যোগের প্রধান গবেষক ড. এমিলি বেইলি টরন্টো স্টারকে বলেছেন, এই ওষুধটি কাজ করে কি না সেটি আমরা দেখতে চাই। ওষুধটি যদি আসলেই কোনো কাজ না করে সেটিও আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যাতে নতুন কোনো সমাধানের দিকে আমরা মনোযোগি হতে পারি।

বিশ্বের ১০টি দেশের গবেষকরা এই ক্লিনিক্যাল টেষ্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৪২২ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৮৩৪ জন। এছাড়া করোনা থেকে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ হাজার ১৮৮ জন।

-কেএন

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily