নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাজারজাত করা হয় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য। দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন এবার জোর দিয়েছে করপোরেট বিপণনে। এজন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে করপোরেট বিপণন বিভাগ। বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে করপোরেট সেলস এ।
সূত্রমতে, প্লাজা এবং ডিস্ট্রিবিউটর চ্যানেলে পণ্য বিক্রি করে স্থানীয় বাজারে সবার সেরা ওয়ালটন। ব্যাপক ব্যবধানে সিংহভাগ বাজার তাদের দখলে। বিপণন ব্যবস্থাকে আরো সক্ষম, যুগোপযোগী এবং বিস্তৃত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ঘরে ঘরে ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দিতে সমন্বিত বিপণন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় করপোরেট বিপণনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
করপোরেট মার্কেটিং চ্যানেলের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যে দেয়া হচ্ছে কাস্টমাইজড সার্ভিস। অর্থাৎ করপোরেট গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি ও সরবরাহ করছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) এর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। এসবের মধ্যে রয়েছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, লিফটসহ অসংখ্য পণ্য।
এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত, বেসরকারি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং কন্সট্রাকশন সলিউশনস ইত্যাদি পণ্য। এরইমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট মার্কেটিং চ্যানেল এর তৎপরতা।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্যও তৈরি হচ্ছে। ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে এসিড লিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, এলইডি লাইট, সুইচ-সকেট, ফ্যান ইত্যাদি। ওয়ালটনের তৈরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্যের মধ্যে রয়েছে কম্প্রেসার, প্লাস্টিক এবং কেমিক্যাল কম্পোনেন্ট, লাইট গাইড এবং ডিফিউজার প্লেইট, মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট, হট মেল্ট এ্যাডহেসিভ, হ্যাঙ্গার, মাস্টারব্যাচেস, মোল্ড এবং ডাইসহ বিভিন্ন পণ্যে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, করপোরেট মার্কেটিং চ্যানেলের মাধ্যমে ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য এখন সহজেই সকল শ্রেণীর গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফিনিশড গুডস এর পাশাপাশি যন্ত্রাংশ বা কাঁচামালও করপোরেট ক্রেতাদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গেল, ডাবল ও মাল্টিলেয়্যার পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড), পাইপ ফিটিংস থেকে শুরু করে বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস বা পণ্য।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং হেড অব করপোরেট সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছর ধরে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য বিপণনে প্লাজা এবং ডিস্ট্রিবিউটর আউটলেট ভিত্তিক মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে এসেছেন তারা। দীর্ঘ পরীক্ষিত গুণগতমান ও সার্ভিস এবং যৌক্তিক সাশ্রয়ী মূল্যে চলতি বছর জোর দেয়া হয় করপোরেট মার্কেটিং চ্যানেলে। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতাদের পাশাপাশি করপোরেট গ্রাহকদের কাছে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চ গুণগতমান এবং দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা পাওয়ায় করপোরেট মহলে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন।
তিনি জানান, করপোরেট চ্যানেলে ইলেকট্রিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য বাজারজাত আরো সহজতর হয়েছে। অনেকেই জানতেন না, ফ্রিজ, টিভি, এসি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য এবং কাঁচামাল তৈরি করছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শন করছেন। তারা ওয়ালটন কারখানার সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ এবং আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
পরবর্তীতে, তাদের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের পণ্য বিক্রির অর্ডার পাচ্ছে ওয়ালটন। সার্বিকভাবে ওয়ালটনের করপোটের সেলস ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
-এসএম