অনলাইনঃ
কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কক্সবাজার শহরে একজন ও টেকনাফে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারে নিহত হয়েছেন কুরবান আলী। অন্যদিকে টেকনাফে নিহত হয়েছেন উপজেলার নাজিরপাড়া এলাকার আজহার মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) ও জালিয়াপাড়ার গ্রামের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
পুলিশ বলছে- টেকনাফে নিহত দুইজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবা কারবারি দু’গ্রুপের অবস্থানের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে ইয়াবা কারবারিরা। পুলিশও গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুইজনকে পাওয়া যায়। তাদের উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে কক্সবাজারে পর্যটক আবু তাহের সাগরের হত্যাকারী, শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কুরবান আলী ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এই সময় ডিবির চার সদস্যও আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ খুরুশকুল এলাকায় অভিযানে যাচ্ছিল। ডিবি পুলিশ সদস্যরা খুরুশকুল ব্রিজ পার হওয়া মাত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় চার ডিবি পুলিশ সদস্য আহত হন। গোলাগুলির একপর্যায়ে সড়কের ওপর একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকীৎসক ওই সন্ত্রাসীকে মৃত ঘোষণা করে।