অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এই বৈঠক হয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে দেয়া ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য অবহিত করতেই এই বৈঠক।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুর্কিসহ বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা জোটের অন্যতম প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে এ প্রশ্ন করেন। জবাবে কামাল হোসেন সরাসরি জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা নির্বাচিত সংসদ ঠিক করবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আরও তিনটি প্রশ্ন করা হয়।
বৈঠকে জোটের অন্যতম প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন ফ্রন্টের সাত দফা ও ১১ দফা লক্ষ্য কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে পাঠ করেন। এরপর বর্তমান গণতন্ত্র, সরকার, নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভূমিকা বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ. স. ম. আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের সুব্রত রায় চৌধুরী, মোস্তফা মন্টু ও বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
বৈঠকসূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেন বক্তব্য দেয়ার পরই কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। ড. কামাল সব প্রশ্নের উত্তর দেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনে বিজয়ী হলে ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? উত্তরে ড. কামাল বলেন, ‘এটা সংসদের বিষয়। নির্বাচিত সংসদই ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।’
এরপর আবার প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনার বিপরীতে লিডার ( নেতা) কে হবেন? বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও কারাগারে আছেন। সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব সংকট কীভাবে পূরণ হবে? জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখানে একক নেতৃত্ব নেই। যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে।
-আরবি