আইন আদালতঃ
পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনার পর তার মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলছে পুলিশ।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘এএসপি আনিসকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, ব্যবস্থাপনার জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া সিসিটির ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে দেখাযায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ও ধস্তাধস্তি করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় হাসপাতালের ছয় স্টাফ।
দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে নেওয়ার পর তাকে মেঝেতে উপুর করে চেপে ধরা হয়। তাকে সেখানে ধস্তাধস্তির সময় মারধরও করা হয়। ধস্তাধস্তির ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় একেবারে নিস্তেজ হয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে সোমবার (৯ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে হাসপাতালে নেয়া হয়, ১২টার মধ্যে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি। এদিকে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হলে বিকেলে মৃত আনিসুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, হাসপাতালের স্টাফদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পেয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও হাসপাতালের স্টাফসহ ৬/৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ’
-কেএম