অনলাইনঃ
অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাজেট দিতে যাচ্ছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা প্রথম বাজেট। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট এটি।
শিক্ষা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, ক্রিকেট, ভোটের মাঠ এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি সকল ক্ষেত্রেই সফলতার পরিচয় দিয়েছেন মুস্তফা কামাল।
মেধাবী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৭০ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে (পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান) চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্সি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সম্মিলিতভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে ‘লোটাস’ উপাধি পান।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে মুস্তফা কামালের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।
রাজনীতির কারণে তিনি ১৯৭৮ সালে এবং ২০০৭-এর ওয়ান ইলেভেনের পর ১৯ মাস ৪ দিন জেলও খেটেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক খাতে নান সংস্কারের কথা বলেন তিনি। এবারের বাজেট বক্তৃতায়ও আনছেন বড় পরিবর্তন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’ বাজেট। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা হবে সংক্ষিপ্ত। তবে এ বক্তৃতার একটি বর্ধিত সংস্করণ বাজেট বই আকারে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
সমাজের প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে আসা মুস্তফা কামাল ইতিপূর্বে বলেছেন, ‘আমি প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে এসেছি, তাই আমি জানি তৃণমূলে কী সমস্যা রয়েছে। আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। অসততা আমাকে স্পর্শ করেনি, করবেও না। আমি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। সাধারণ মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে’। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর দিক নির্দেশনা থাকবে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজেটকে আরো অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট -এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সেইসঙ্গে দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করতে পারবেন।
প্রাপ্ত সকল মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।
কেএম