সারাদেশঃ

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামে সুমনা খাতুন (৪) নামে এক শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে ১৩ বছর বয়সী এক প্রতিবেশী শিশু। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শিশু সুমনার লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তার প্রতিবেশী এক দম্পতিকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছেলেকে আটক করে পুলিশ। আদালতে হাজির করা হলে সে সুমনাকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। 

গত শনিবার বিকেলে সুমনা খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন সুমনার বাবা ফরিদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে গ্রামের লোকজন পরিত্যক্ত বাড়িতে সুমনার বস্তাবন্দী লাশের সন্ধান পায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফরিদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত জালাল উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত যে বাড়ি থেকে সুমনার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়, সেই বাড়ির দেখভাল করা দম্পতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এই দম্পতি জানান যে ওই বাড়ির একটি চাবি তাদের ছেলের কাছে থাকে। সে মাঝেমধ্যে ওই বাড়িতে গিয়ে খেলাধুলা করে। তখন ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে সুমনাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শিশুটিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত শনিবার বিকেলে ১৩ বছরের শিশুটি তার চার বছরের ভাইকে নিয়ে সুমনার সঙ্গে খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে সুমনা ছোট ভাইকে ধাক্কা দেয়। এতে বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনার গলা টিপে ধরলে সে মারা যায়। পরে সে সুমনার লাশ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি ঘরে রেখে দেয়।

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবুল কাশেম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় শিশু সুমনার বাবা সজীব হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

শিশুটি হত্যার দায় স্বীকার করায় সে এখন এই মামলার আসামি। ফলে তাকে আটক করে তার মা–বাবাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

-কেএস

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily