অনলাইনঃ
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা পরিষদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির নীতিনির্ধারনী মহলের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলার পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দুটির তফসিল হলে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
বৈঠক শেষে বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না’, তাই তাদের এই সিদ্ধান্ত।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। তবে তারপর স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছিল।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন এগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি না। আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় এই ধরনের নির্বাচনগুলোতে শুধু প্রহসনের উপনীত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
‘যেহেতু প্রমাণিত হয়ে গেছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। সেই কারণে আমরা এই নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচিছ না। এটা আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত।’
স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।