উপজেলা নির্বাচন শরিকদের ছাড়াই করছে আ.লীগ

অনলাইনঃ
মহাজোটের শীর্ষ সংগঠন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও এককভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীকে লড়বে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করার কোন সিদ্ধান্ত আমাদের আগেও ছিল না এবারও নেই।

তিনি বলেন, আগামী মাসে নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করবে। এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা সব সময় দলীয়ভাবে করি, জোটগতভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা কখনও করিনি।

দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক হবে নৌকা, জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: সিটি-করপোরেশন নির্বাচনও আমরা দলীয় ভাবে, দলীয় প্রতীকে করেছি।

আগে দলীয় প্রতীকের বাইরে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে। এবার আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা নির্বাচনও আমরা দলীয় প্রতীক-নৌকা মার্কায় করব।

তিনি বলেন: আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র এখানে প্রাধান্য পাবে। উপজেলা পর্যায়ে যারা মনোনয়ন চাইবেন তাদের আগে তৃণমূল থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি প্রতি উপজেলা থেকে তিনজন করে নাম প্রস্তাব করবে। তারা জেলা ও স্ব স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষর সম্বলিত এ তিনজনের নামের কাগজ কেন্দ্রে আসবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন: আমরা কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে একজনের মনোনয়ন দেবো। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই হলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া।

তৃণমূলের আর জরিপ এর ভিত্তিতে প্রার্থীতা চূড়ান্তে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর কিছু জরিপ আছে। সে জরিপের ভিত্তিতে এবং তৃণমূলের সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা মনোনয়ন দেব।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিলো না। ২০১৫ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের পর বছরের শেষ ভাগে সরকার স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যোগে পাঁচ পর্যায়েই দলীয় প্রতীক ব্যবহারের বিধান রেখে আইন পাশ হয়। এর আগে শুধু মাত্র সিটি করপোরেশন ও নতুন পৌরসভা গুলোতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিয়ম ছিল।

-ডিকে

FacebookTwitter