সারাদেশঃ
উত্যক্ত করায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক ইমামের উপর হামলা চালিয়েছেন ৩ নারী। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ১৬নং রূপসা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজার মসজিদের ইমাম সায়েদ আহাম্মদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে ফজরের নামাজ শেষে সালাম ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ৩ জন নারী বোরকা পরে মসজিদের ভিতরে ঢুকে ইমামের উপর মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করেন ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করেন। এ সময় মুসল্লিরা ওই ৩ নারীকে ধরে মসজিদে আটকে রাখে।
মসজিদের ইমামকে স্থানীয় লোকজন পার্শ্ববর্তী উপজেলার রায়পুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় লোকজন।
পরিস্থিতির অবনতি দেখে পরে মসজিদ কমিটির সভাপতির ছোট ভাই নুরুল আমিনের মেয়ে বলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নুরুল আমিন বলেন, মসজিদের ইমাম বহুদিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের নিয়ে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে আমি মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে নালিশ করেছিলাম। কিন্তু কোনও ফল পাইনি।
হামলার বিষয়ে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ইমাম বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে, এটার বিচার তো কেউ করলো না। তারা আমার মেয়েকে ধরে মারধর করেছে। আমরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।’
মসজিদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইমাম সাহেব নুরুল আমিনের মেয়েকে বহুদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছে। নুরুল আমিন আমার কাছে বলেছে। আমি ইমামকে বলেছি আপনি এখান থেকে চলে যান। সে চলে গেছে এবং কিছু দিন পর মসজিদের কিছু লোক তাকে আবার নিয়ে আসে। এ নিয়ে আমি মসজিদের ইমামের পিছনে দু’ মাস ধরে নামাজ পড়ি না। কিছু লোক তাকে সমর্থন দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ
রাবি’র ছাত্রী হলে অনিয়ম বন্ধে মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ থেকেই অভিযোগ আসেনি। তবে খবর নিয়ে আমরা জেনেছি, নারীদের মধ্যে রিনি (২৫) নামের একজনের ছোট ভাইকে ইমাম পড়াতো। এরমধ্যে তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এই নিয়ে স্থানীয়রা শালিশ বৈঠকে বসার কথা ছিল।’