অনলাইনঃ
ঈদের আগের দিনেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর থেকে প্রায় প্রতিটি ট্রেনই দেরিতে স্টেশন ছেড়ে গেছে। সব থেকে বেশি সমস্যা উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে।
এদিকে অতি বিলম্বের কারণে ঈদযাত্রার বিশেষ ট্রেন লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল সোয়া ৯টার যাত্রা বাতিল।
সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করে রেল সচিব মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
এদিকে ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের টিকিটের মূল্য ফেরত নিচ্ছেন। তারা নিজ বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন কি না তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
স্টেশনে ট্রেনের শিডিউল তুলে ধরা ডিজিটাল মনিটর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো কমলাপুরেই আসেনি। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটের ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনো রাজশাহী থেকেই যাত্রা করেনি ট্রেনটি। প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরিতে রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে ট্রেনটি।
ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ৩ ঘণ্টা দেরিতে দুপুর ১২টায় সেটির ছেড়ে যাওয়ার নতুন সময় দেখানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে নীলসাগর এক্সপ্রেস কখন ছেড়ে যাবে তা এখনো জানে না স্টেশন কর্তৃপক্ষ। আর ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ১০টার একতা এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেরিতে ১১টায় কমলাপুর ছেড়ে যাবে বলে।
তবে কিছু ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত সময়ের স্বল্প বিলম্বে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। সকাল পৌনে ৭টায় প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় পারাবত এক্সপ্রেস। ৭টা ২ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস। দেওয়ানগঞ্জগামী ভোর ৫টার ট্রেন ৫টা ৪৪ মিনিটে ছেড়ে যায় কমলাপুর থেকে।
ঈদের আগের দিনও ট্রেনের এমন শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। ঈদের দিন গন্তব্যে পৌছাতে পারবে কিনা সেই আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মধ্যে।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ ট্রেনই শিডিউল মত ছেড়েছে। দুই একটি দেরি করছে।
শুক্রবার বেশ কিছুক্ষণ বঙ্গবন্ধু সেতুতে একটি ট্রেনের দুর্ঘটনার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। যার প্রভাব পড়েছে সব ট্রেনেই। এছাড়াও ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠছেন। এজন্য অতিরিক্ত সময় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ট্রেনগুলোকে।
-কেএম