ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রে ঢাকা ওয়াসার এমডির ১৪টি বাড়ি রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ অসত্য, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটা জানান ওয়াসার এমডি।
তাকসিম এ খান বলেন, ওই প্রতিবেদনের তথ্য শতভাগ মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বহু বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি সবাই জানে। আমার দুই দেশের নাগরিকত্ব আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিজের বা আত্মীয়-স্বজনের বিষয়ে কিছুই নেই জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, আমার ইনকাম ট্যাক্সের হিসাবে সবই উল্লেখ আছে।
সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন নিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসায় সংস্কার করেছি। যাদের বিরুদ্ধে সংস্কার করা হয়েছে, যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তারা তারা এসব প্রতিবেদন করাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি শতভাগ অসত্য। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি থাকার বিষয়টা ১০০ ভাগ মিথ্যা। সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি অসত্য, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যুক্তরাষ্ট্রে একজন সাধারণ মানুষের থাকা-খাওয়া জন্য যেটা থাকে, আমারও সেটাই আছে।
সংবাদমাধ্যমকে আরও তাকসিম এ খান বলেন, ইতোমধ্যে আরও বহুবার আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিবেদন করা হয়েছে। এর একটাও প্রমাণিত হয়নি। এবারেরটাও পুরোটাই বানোয়াট ও ভুয়া। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এগুলো করা হয়েছে।
এ সময় একটাও প্রমাণ করতে পারবেন না বলেও চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
নিজের উপার্জনে হারাম নেই দাবি করে তাকসিম এ খান বলেন, আমি একটি টাকা কিংবা ইউএস ডলার অবৈধ উপার্জন করিনি। আমার যা আয় সব হালাল।
দুদকের তিনটি তদন্ত চলমান থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রকৌশলী বলেন, দুদক আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না। বোর্ডের পরিচালক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে তাদের প্রশ্ন আছে। এ বিষয়ে তারা উত্তর পাবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে মোট ১৪টি বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
-আরপি