একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার এলাকা, ভোটার কেন্দ্র ও কেন্দ্রের নম্বর পাবেন ভোটাররা।
বিষয়টি জানিয়েরছন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেছেন, শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, এ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রায় ৭ লাখ নিরাপত্তা সদস্য। এছাড়া বেসামরিক কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন। আশা করি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।
পোলিং অফিসাররা সকাল ৮টার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়োগপত্র দেখাবেন। এ সব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, ভোটের দিন ইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো যান্ত্রিক যানবাহন চলবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি গাড়ি, সেবা সংস্থা যেমন ফায়ারসার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র পরিবাহী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভোটাররা চাইলে সঙ্গে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তা সুইচ অফ রাখতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভোট দেয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন কিনা তা জানা নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বলতে পারবেন।
ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং, প্রার্থীর এজেন্টেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্বরে ইসি দশটি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করবে। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।