অর্থনীতিঃ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ পাঁচ দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সায়েহ বর্তমান বৈশ্বিক মন্দা এবং অন্যান্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে আইএমএফ সদর দফতরে রিপোর্ট করার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় এসেছেন।
এর আগে তিনি ভারত সফরে ছিলেন।
সফরকালে সায়েহ প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ১৮ জানুয়ারি তিনি পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন।
সরকার আইএমএফের সঙ্গে ঋণ নিয়ে একটি নীতিগত চুক্তিতে পৌঁছেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার অপেক্ষা।
সরকার আইএমএফের আরও কিছু শর্ত বাস্তবায়নের জন্য কিছুটা সময় চাইবে। ইতিমধ্যে কিছু শর্ত কার্যকর করা হয়েছে।
বাসস জানায়, আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাটি বাংলাদেশকে তিনটি বিভাগে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। আইএমএফ এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)-এর অধীনে ৮২২.৮২ মিলিয়ন সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এসডিএফ প্রদান করবে।
আইএমএফ ফ্লোটিং এসডিএফআই +১ শতাংশ সুদের হারে এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)-এর অধীনে বাংলাদেশকে আরও ১,৬৪৫.৬৪ মিলিয়ন এসডিএফ প্রদান করবে এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)-এর অধীনে ফ্লোটিং এসডিএফআই +০.৭৫ শতাংশ সুদের হারে ১ বিলিয়ন ডলার এসডিআর দেবে। এই ঋণ সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে। সুদের হার ফ্লোটিং হবে।
এসডিআর সুদের হার অনুযায়ী সামগ্রিক ঋণের পরিমাণের ওপর গড় সুদের হার হবে ২.২ শতাংশ। ৩৫২.৩৫ মিলিয়ন এসডিআর বা প্রায় ৪৪৭.৪৮ মিলিয়ন মূল্যের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারিতে এবং পরবর্তী ছয়টি সমান কিস্তি হবে ৫১৯ মিলিয়ন এসডিআর বা প্রায় ৬৫৯.১৮ মিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, সায়েহরের করা প্রতিবেদন আইএমএফের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে যার ভিত্তিতে ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।
-আরপি