ব্র্যান্ডঃ
স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপোও এই উদ্ভাবনের দৌড়ে এগিয়ে আছে। গ্রাহকদের চমৎকৃত করতে অপো নিয়ে এসেছে প্রযুক্তির দারুণ সব উদ্ভাবন।
সম্প্রতি, কোম্পানির বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্সে ডিজিটাল ভয়েস এসিস্টেন্স ব্রিনো উন্মোচন করে অপো। আসন্ন ফাইভ জি যুগের জন্য অপো এর ইন্টেলিজেন্ট ভয়েস এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি স্বাভাবিক আচার-আচরণ থেকে অনুধাবন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। ফলে গ্রাহকরা একদম নিজের মতো করে সেবা নিতে পারেন।
ব্রিনো ৭টি মডিউলে কাজ করে। এগুলো হচ্ছে অ্যাডভাইস, স্ক্রিন রিকগনিশন, অ্যাওয়ারনেস, স্পিড, ভয়েস, ড্রাইভিং এবং স্পেস। এগুলো বুদ্ধিবৃত্তিক পরামর্শও প্রদান করে থাকে যেমন- আপনি যখন বিমাবন্দরে পৌঁছাবেন তখন ব্রিনো আপনার মোবাইলে স্ক্রিনের উপরে ফ্লাইট সময়সূচি ও বোর্ডিং সম্পর্কিত তথ্য প্রদর্শন করবে। ডিজিটাল ভয়েস এসিস্টেন্স ব্যবহারকারীর চাহিদা বুঝতে সক্ষম। এটি এআই-এর লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারকারীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। ব্রিনো-এর দর্শন হচ্ছে উন্মুক্ত হওয়া, তৈরি করা এবং শেয়ার করা এবং অপো বিশ্বাস করে যে, এটি আগামীতে সার্বজনীন আইওটি হাব হিসেবে কাজ করবে।
অপো-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এ্যান্ডি ওউ বলেন, ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত পণ্য হিসেবে ব্রিনো ভবিষ্যতে স্মার্টফোন ও অন্যান্য আন্তসংযুক্ত জিনিসের সাথে যে বাধা আছে সেটি দূর করবে এবং গ্রাহকরাও একটি সমন্বিত, নিরবিচ্ছিন্ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
ভবিষ্যতে ফাইভ জি যুগের জন্য এআই ক্লাউড কম্পিউটিং, এআর, এবং অন্যান্য ফাইভ জি প্রযুক্তিগুলির মধ্যে এর গভীর সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন হার্ডওয়্যার ও সেবাসমূহে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। অপো আশা করে যে, আগামীতে ব্রিনো মাল্টি-ব্র্যান্ড ও মাল্টি-টার্মিনাল হিসেবে কাজ করবে।
-এসএম