সারাদেশঃ
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে জোর করে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ২ নভেম্বর, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত পলিটেকনিট ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে তাদের আটক করে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
এর আগে গতকাল রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। এতে ৫০ জনকে আসামি করা হলেও এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করেন নি তিনি।
জানা গেছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিত না থাকা এবং মধ্যপর্ব পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় দু’জন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সুযোগ দেননি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের ইনস্টিটিউট শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে কয়েকজন গতকাল শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষকে ক্যাম্পাসের পুকুরে ঠেলে ফেলে দেন।
পরে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। এসব দৃশ্য ধরা পরে সেখানকার সিসিটিভিতে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই ছাত্রের পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য অধ্যক্ষের কাছে সৌরভের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েক নেতা তদবির নিয়ে আসেন। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টেনে নিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
এ ঘটার জেরে সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। তিনি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান গ্রুপের নেতা।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ এ ব্যাপারে জানান, সৌরভকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রাতেই পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কার্যক্রমও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।’ আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন তিনি।