অনলাইনঃ
চকবাজারের অগ্নিকান্ডের কবলে পড়া ভবন ওয়াহেদ মঞ্জিলের আন্ডার গ্রাউন্ডে বিপুল পরিমান কেমিক্যালের সন্ধান মিলেছে। গোডাউনে এখনও ভবনটি উড়ে বিস্ফোরণে উড়ে যাবার মতো কেমিক্যালের শত শত কন্টেইনার মজুদ রয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ফায়ার সার্ভিস এই অগ্নিকাণ্ড এলাকার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে গিয়ে এই গোডাউনের সন্ধান পায়।

আগুন কেমিক্যালের কারণেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তদন্ত কমিটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডটি কেমিক্যালের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আর মজুদ করা এই কেমিক্যালে আগুন লাগলে তার ভয়াবহতা কতগুণ বেড়ে যেত সেটা হিসাব করা কঠিন।

আগুন লাগার পর থেকেই ওই ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের গেটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। আন্ডারগ্রাউন্ডের অন্ধকারের মধ্যে অনেক রকমের জার ও কন্টেইনার এবং বস্তাতে কিছু দ্রব্য মজুদ করা রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ওই ভবনের মালিক বা কর্তব্যরত কাউকেই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে স্থানীয়রা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে কমিটির অন্যতম সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে। কিন্তু ভবনের ভেতরে অনেক কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ ছিল। সেগুলোর কারণেই আগুন এত দ্রুত ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

কী ধরনের কেমিক্যাল ছিল- সে বিষয়ে জুলফিকার রহমান বলেন, ওই ভবনে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল, যা নিজেই একটা দাহ্য পদার্থ। এ ছাড়া সেখানে পারফিউমের বোতল রিফিল করা হতো। আগুন লাগার পর পারফিউমের বোতলগুলো বোমের মতো বিস্ফোরণ ঘটেছে। এসবই কিন্তু এক ধরনের কেমিক্যাল। আর এই কেমিক্যালের জন্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে এত বেশি সময় লেগেছে।

গত বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

-ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily