অনলাইনঃ
ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মসজিদের ইমামসহ সবাইকে লম্বা জামা-পায়জামা ও মোজা পরার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
রবিবার (৪ আগস্ট) নগর ভবনে ডিএসসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। কোরবানি পশুর বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে মসজিদের খতিব-ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও অ্যারোসল স্প্রে বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, ‘আপনারা লম্বা জামা, পায়জামা এবং মোজা পরতে পারেন। ইমাম সাহেবেরা এমন পরেন। একটু সচেতন হলে আমরা এ (ডেঙ্গু) থেকে মুক্তি পেতে পারি। মসজিদে নামাজের আগে অ্যারোসল স্প্রে করতে পারেন। সামান্য সচেতনতা আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখতে পারে।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মাফ করলে দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করতে পারবো। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ। এ কাজে ইমামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা নিজ এলাকায় প্রতিটি মসজিদে ডেঙ্গু থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দোয়া পাঠ করবেন। যেন এ শহর দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত হয়। কারণ আল্লাহ ধৈর্যশীল ও নামাজিদের পছন্দ করেন। আমরা ধৈর্য ধরবো ও নামাজের সঙ্গে আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করবো। নিশ্চয় তিনি আমাদের মাফ করবেন।মসজিদের খতিব-ইমামদের সঙ্গে মেয়র সাঈদ খোকনের মতবিনিময় সভা। ছবি: জিএম মুজিবুরডেঙ্গু রোগে নগরের মানুষ আক্রান্ত ও আতঙ্কিত উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এটা প্রতিরোধে প্রয়োজন জনগণের সতর্কতা। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছি। শিগগির আমরা দেখতে পারবো নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে।’
মেয়র বলেন, ‘চারদিকে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তেমনি জনগণও যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। এক মাস আগেও আমাদের জনগণের অনেকে ডেঙ্গু নিয়ে তেমন সচেতন ছিলেন না। এখন জনগণ যথেষ্ট সচেতন হয়েছেন। তাই এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রচেষ্টা ও জনগণের সচেতনতার ফলে।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে শহরকে রক্ষা করতে আমাদের জনবল বাড়ানো হবে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা অন্তত সাতটি বাড়ি করে দক্ষিণের প্রায় ৩৪৮০টি বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করার কাজ করছি। ইতোমধ্যে হাজারো বাসা-বাড়ি থেকে ডেঙ্গু বা এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
-কেএম