খেলাঃ
দ্রুত চার উইকেটের পতনে মোটামুটি ভালোভাবেই চাপে পরেছে ইংল্যান্ড। ২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৮৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২৪২ রান। দলীয় ২৮ রানে নিউজিল্যান্ডের প্রথম শিকার জেসন রয়।
ম্যাট হেনরির বলে টম লাথামের হাতে ধরা পড়ার আগে ২০ বল থেকে ১৭ রান করেন তিনি।
দলীয় ৫৯ রানে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ফিরেন জো রুট।
এরপর দলীয় ৭১ রানে ৩৬ রান করা জনি বেয়ারস্টো এবং ৮৬ রানে ইয়ন মরগান বিদায় নেন।
বস্তুত এতেই বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করেছে।
ব্যাট হাতে নেমে দলীয় ২৯ রানে ওকসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ১৮ বল থেকে দুটি চার ও একটি ছক্কার মারে ১৯ রান করেন তিনি ।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে সতর্কতার সঙ্গে খেলতে থাকেন দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধা হেনরি নিকলস ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এই দুজন ৭৪ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন।
তবে দলীয় ১০৩ রানে উইলিয়ামসনের বিদায়ে ফের চাপে পড়ে দলটি।
প্লাঙ্কেটের বলে জস বাটলারের গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে উইলিয়ামসন ৫৩ বলে ৩০ রান করেন।
১৫ রানের ব্যবধানে ফিরেন নিকোলসও। প্লাঙ্কেটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৫৫ রান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন হয় কিউইদের।
শেষ দিকে টম লাথামের ৫৬ বল থেকে ৪৭ রানের দারুণ একটি ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করতে সক্ষম হয় কিউইরা।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট ৩ টি করে উইকেট নেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ জুলাই এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড।
এর দুদিন আগে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড।
আগে তিনবার (১৯৭৯, ১৯৮৭, ১৯৯২) ফাইনালে উঠলেও কখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের সাফল্য গত আসরে রানার্স আপ হওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সুতরাং আজ যারাই জিতবে তারাই হবে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন।
আরও পড়ুনঃ
মুখ খুললেন মিন্নি: ষডযন্ত্রকারীদের বিচার দাবি
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩১ ওভার ২ বলে চার উইকেটে ১২১ রান।
এখন দেখার বিষয় শেষ হাসিটা কে হাসে? মরগান নাকি উইলিয়ামসন।
-এইচএম