অনলাইনঃ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী উল্লেখ করে বলেছেন, গণতন্ত্র বিকাশে এরা কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
তার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল সংসদ ভবনে আজ সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সরকারের জবাবদিহিতা, মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান আইন ও কার্যাবলী এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাতে মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন এবং কমিশনের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহে মানবাধিকার কমিশন যে সকল আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্পিকার এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আইন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন মর্মে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্থ করেন।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন,নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লাকেন,সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোট্টা স্লাইটার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেন্সটেইন ,যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ফার্ষ্ট সেক্রেটারী (পলিটিক্যাল) এরিকা হ্যাজনস ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী ।
এছাড়া স্পিকার বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী। গণতন্ত্রের বিকাশে এরা কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-বাসস