পুস্টি, প্রাণ ড্যানিশ এসিআইসহ ১৮ লাইসেন্স স্থগিত এবং ৭টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন’র (বিএসটিআই)। বিএসটিআই’র পরীক্ষায় ৫২টি খাদ্যপণ্য নিম্নমানের প্রমানিত হওয়ায় এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো জাতীয় এ সংস্থাটি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য নিশ্চিত করে বিএসটিআই।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়া পণ্যগুলোর হলো- সিটি অয়েল মিলের তীর সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিসিং ভেজিটেবল অয়েলের জিবি সরিষার তেল, শবনম ভেজিটেবল অয়েলের পুষ্টি সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা সরিষার তেল,
স্থগিত হওয়া নিম্নমানের পানি কোম্পানি গুলো হলো- আররা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের আররা, ডানকান প্রোডাক্টের ডানকান, দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটারের দিঘী,
স্থগিত হওয়া সেমাই কোম্পানি গুলো হলো- প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের প্রাণ লাচ্ছা সেমাই। এছাড়াও নিম্নমানের হলুদের গুড়ার মধ্যে ড্যানিশ, প্রাণ ও ফ্রেশ এবং কারী পাউডারের মধ্যে প্রাণ ও ড্যানিশ’র লাইসেন্স স্থাগিত করা হয়।
আয়োডিনযুক্ত লবণের মধ্যে এসিআই ও মোল্লা সল্ট। ধনিয়া গুড়ার মধ্যে এসিআই পিওর, নুডলসের মধ্যে নিউ জিল্যান্ড ডেইরির ডুডলস এবং চিপসের মধ্যে কাশেম ফুডের সান’র লাইসেন্স স্থগিত করা হয়।
এদিকে লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলোর হলো- আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার সাফি, শাহারী অ্যান্ড ব্রাদার্সের নারজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ন ডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার এবং আর আর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার।
শান্তা ফুড প্রডাক্টসের টেস্টি, তানি ও তাসকিয়া এবং জাহাঙ্গীর ফুড প্রডাক্টসের প্রিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডারেরও লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
একই সাথে লাইসেন্স বাতিল বনলতা সুইটস অ্যান্ড বেকারীর বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি’র।
তবে মনোন্নয়ন করে আবারো লাইসেন্স গ্রহণের পর এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ করতে পারবে। তার আগ পর্যন্ত উৎপাদন এমনকি খুচরা বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএসটিআই’র বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক জানান, নোটিশের উত্তর দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পরেও উত্তর না আসায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোজা শুরুর আগে বাজারে গোপন অভিযান চালিয়ে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব পণ্যের মধ্যে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের হিসাবে চিহ্নিত হয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষায়। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিপণন কোম্পানিগুলোকে এজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।