নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ

আইন আদালতঃ
সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা। সিরাজ রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

রোববার বিকেলে সিরাজ উদদৌলা ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় সিরাজ উদদৌলাকে আদালতে হাজির করা হয়।

সিরাজের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের পিবিআইয়ের চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসতার হত্যার দায়ী স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। সিরাজের সঙ্গে মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন ফেনী কারাগারে দুইবার দেখা করেন। তখন সিরাজ তাদের নির্দেশ দেন নুসরাতকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে। এ প্রস্তাবে নুসরাত রাজি না হলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাতে বলেন। সিরাজ সবই স্বীকার করেছেন।

এর আগে গত ২৭ মার্চ নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলায় পুলিশ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে ৯ এপ্রিল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১০ এপ্রিল তাকে আদালতে তুলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিরাজ উদ দৌলাসহ ৯ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।

গেল ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে কৌশলে একটি চারতলা ভবনের ছাদে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সিরাজের অনুসারীরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

FacebookTwitter