অনলাইনঃ
ফেনীতে অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে বিচার চাওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার সকালে তাকে সোনাগাজী থেকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, শরীফ আগুন দেয়ার সময় গেট পাহারায় ছিলেন। পাশাপাশি হত্যা পরিকল্পনায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, রাফির সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম। মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরো এক আসামি পলাতক।
এর আগে সোমবার রাতে রাফির সহপাঠী বান্ধবী কামরুন্নাহার মনি ও মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নাতুল আফরোজকে আটক করে পিবিআিই।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান রাফি জাহান রাফি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
১০ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।