চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে বসানো যাবে না পান-সিগারেটের দোকান।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিটির মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এ সময় মেয়র জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল এলাকায় একশ গজের মধ্যে থাকা পান-সিগারেটের দোকান দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ধূমপান বা পান খাওয়ার জন্য প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কর্নার চালু করা হবে।
মেয়র নাছির তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের নগরীতে অনেক স্কুল, কলেজ, এমনকি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় পান ও সিগারেটের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এসব দোকান থেকে তামাকজাতীয় পণ্য সহজে কেনা যায়। সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ধীরে ধীরে আমাদের প্রজন্ম, সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। এই নতুন প্রজন্মের হাতেই পরিচালিত হবে আগামীর বাংলাদেশ। কিন্তু ধূমপান আসক্তি সব মাদকাসক্তির প্রাথমিক পর্যায়, এ কথা প্রমাণিত সত্য। তাই এই প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে তামাকমুক্ত নগরী বিনির্মাণ আজ সময়ের দাবি।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রামে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল এলাকার একশ গজের মধ্যে কোনো ধরনের পান সিগারেটের দোকান দেয়া যাবে না। এই নির্দেশনা কার্যকরের লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এই কাজে সর্বজনীন সহযোগিতা প্রয়োজন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বিতভাবে আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিয়ে পান-সিগারেটের দোকান উচ্ছেদ করা হবে। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালগুলোতেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হবে।’
বেসরকারি সংস্থা বিটা, ইলমা ও ক্যাবের চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী বিনির্মাণে ‘সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযান’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন, বিটা নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত, স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিটিএফকে বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শরিফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
-ডিকে