নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ফ্রিজে নতুন অফার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে যে কোনো মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করে ক্রেতারা পেতে পারেন বিশেষভাবে তৈরি গোল্ডেন এডিশন ফ্রিজ। শুধু ৫০০ ভাগ্যবান ক্রেতা এই বিশেষ ফ্রিজ পাবেন। এ সুযোগ থাকছে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল ২০১৯) এই অফার ঘোষণা করে ওয়ালটন। রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত ওই ফ্রিজটির মোড়ক উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার এবং ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর মেহেদী হাসান মিরাজ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, উদয় হাকিম, আরিফুল আম্বিয়া, গোলাম মুর্শেদ এবং আমিন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য অফারের পাশাপাশি ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের বৈশাখী উপহার হিসেবে এ ফ্রিজগুলো দেয়া হবে। গোল্ড এডিশনের ৫০০টি ফ্রিজ বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
বিক্রির জন্য নয়, শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছা হিসেবে বাঙ্গালী সংষ্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে ফ্রিজের দরজায় বৈশাখী উপকরণ দিয়ে নজরকাড়া নকশা করা হয়েছে।
এ অফারের পাশাপাশি, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোর এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্য কিনে রেজিস্টেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। আছে মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ওভেনসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব না মিললেও রয়েছে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যস্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে তৈরি ওই ফ্রিজের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, নতুন বছরে সবাই উপহার পেতে ভালোবাসে। তাই বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের বিশেষ কিছু দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ। আশা করি ওয়ালটনের এ উপহার ক্রেতাদের নতুন বছরের আনন্দ আরো রাঙিয়ে দেবে।
মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড। তারা দেশেই নিজস্ব কারখানায় উচ্চমানের অত্যাধুনিক সব পণ্য তৈরি করে। যে কারণে বিশেষ ডিজাইনের ফ্রিজ তৈরি করা এবং ক্রেতাদেও উপহার দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব।
ওয়ালটন ফ্রিজের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘১৯ এ ২০’। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গ্রাহকদের জন্য ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সৃজনশীল ডিজাইনের অসংখ্য নতুন মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ১০১ মডেলের ফ্রস্ট ও ২০ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ১৬ মডেলের ফ্রিজার এবং ২ মডেলের বেভারেজ কুলার।
ওয়ালটন ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোঁখ ধাধানো ডিজাইনের ৩৪ মডেলের গ্লাস ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ৪ মডেলসহ বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত ৩ মডেলের ফ্রিজ। গ্লাস ডোরে ২১টি সহ মোট ৩৮টি নতুন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর সমৃদ্ধ গ্লাস ডোরের ৩৮০ লিটারের ৩টি নতুন মডেল। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলবে।
এদিকে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে ৬টি নতুন মডেল নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এর মধ্যে ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত করে ওয়ালটন প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়ছে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। সম্প্রতি ফ্রিজ কম্প্রেসরের গ্যারান্টি সুবিধা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ১২ বছরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে ১ বছরের রিপ্লেসমন্টে গ্যারান্টি সুবিধাসহ দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।
-ডিকে