অনলাইনঃ
আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ‘ ডাইং ডিক্লারেশন’ (মৃত্যুশয্যায় দেওয়া বক্তব্য) দিয়েছেন। নুসরাত তার বক্তব্যে বলেছেন, ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে তার শরীরে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে ওড়না পুড়ে গেলে তার হাত মুক্ত হয়।
বোরকা, নেকাব ও হাতমোজা পরা যে চার নারী তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, তাদের একজনের নাম সম্পা বলে জানান নুসরাত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে নুসরাতের বক্তব্য নিয়েছেন একজন চিকিৎসক।
নিয়ম অনুযায়ী এ সময় দুজন সাক্ষীও উপস্থিত ছিলেন। আইনি ভাষায় এই বক্তব্যকে ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ বলা হয়। অর্থাৎ রাফি বেঁচে না থাকলে তার এই বক্তব্য ‘মৃত্যুশয্যায় দেওয়া বক্তব্য’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তার এ বক্তব্য মামলার বিচারকাজের সময় ব্যবহার করা হতে পারে।
সঙ্কটাপন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যে রাফি বলেছেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের শ্নীলতাহানি করতেন। তার কথায় রাজি না হলে তিনি নানাভাবে হেনস্থা করতেন। ২৭ মার্চ রাফির সঙ্গেও অধ্যক্ষ অশালীন আচরণ করেন।
-hf