শিল্প ও সাহিত্যঃ
২০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া পিকাসোর আঁকা একটি চিত্রকর্ম উদ্ধার করে দিয়েছে চিত্রকর্ম জগতের ইন্ডিয়ানা জোনস নামে পরিচিত এক ডাচম্যান।
১৯৯৯ সালে সৌদি শেখের নৌবহর থেকে চুরি যাওয়া চিত্রকর্মটি কয়েক বছর পরে ডাচ ক্রিমিনাল আন্ডারওয়ার্ল্ডে বিক্রি হয় বলে জানান আর্থার ব্র্যান্ড।
ডোরা মার প্রথম আঁকা হয় ১৯৩৮ সালে। আর বর্তমানে সেটার মূল্য ২৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ডোরা মার পাবলো পিকাসোর প্রেমিকা ছিলেন সাত বছর। ১৯৭৩ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত এই চিত্রকর্মটি তার বাড়িতেই টাঙানো ছিলো।
এর আগে ১৯৭০ সালে সাইপ্রাসের চার্চ থেকে চুরি হওয়া বাইজানটাইন মোসাইক অব সেইন্ট মার্ক সংগ্রহ করে খবরের শিরোনাম হন ব্র্যান্ড। ২০১৫ সালেও বিশ্বব্যাপি সবার প্রশংসাধ্বনি পান নাজি স্থপতি জোসেফ থোরাকের দুটি ব্রোঞ্জের স্ট্যাচু হিটলারের ঘোড়াগুলো উদ্ধার করে।
তিনি জানান, বছরের পর বছরব্যাপি পিকাসোর চিত্রকর্ম ব্যবহৃত হয়েছে, প্রায় ব্যবহৃত হয়েছে মাদক ব্যবসার বন্ধকী হিসেবে। সবার ধারণা ছিলো এটি নষ্ট হয়ে গেছে। যেটা ৯০ শতাংশ চুরি যাওয়া চিত্রকর্মের সঙ্গে হয় কারণ সেগুলো সহজে বিক্রি করা যায় না।
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, চিত্রকর্মটি হাতে পাওয়ার পরে আমি রাতভর সেটি নিজের দেয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি এবং সেটা বেশ উপভোগ করেছি।
২০১৫ সালে ব্র্যান্ড খোঁজ শুরু করে চুরি যাওয়া পিকাসোর চিত্রকর্মের। সেই সময়ে তিনি শুনেছিলেন জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পিকাসোর চিত্রকর্মটি নেদারল্যান্ডের অপরাধীদের মধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও সঠিকভাবে জানতেন না কোন চিত্রকর্ম সেটি।
কয়েকবছর খোঁজ করার পরে ব্র্যান্ড বুঝতে পারেন সেটা ডোরা মার চিত্রকর্মটি। যেটা সেখানে বুস্টে দি ফেম্মি নামে পরিচিত। থিওডোরা মার্কোভিট ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিকাসোর সঙ্গে তার প্রেম চলেছিলো ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত। ১৯৯৭ সালে ৮৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
সৌদি বিলিয়নিয়ার শেখ আব্দুল মোহসেন আব্দুলমালিক আল-শেখের বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে কোরাল দীপ থেকে চুরি হয়। পরে তিনি যারা সেটি কিনেছিলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। পরে দুজন ডাচ ব্যবসায়ী তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান তাদের ক্লায়েন্টের কাছে ওই চিত্রকর্মটি রয়েছে।
পরে জানলাম তাদের চিত্রকর্মটি কেনা বৈধ ছিলো কিন্তু সেটার টাকা পরিশোধের পদ্ধতি বৈধ ছিলো না। পরে তারা কাগজে মুড়িয়ে বড় ময়লার ব্যাগে করে চিত্রকর্মটি তার আমস্টারডামের ফ্ল্যাটে আনে।
তবে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে তারা এই চিত্রকর্মের সর্বশেষ সত্ত্বাধিকারীকে আইনের আওতায় আনবে না। তবে সেটা এখন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অধীনে চলে যাবে, তারাই সিদ্ধান্ত নিবে এরপরে কি করা হবে।