নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা, প্রাণে রক্ষা পেলেন টাইগাররা

আন্তর্জাতিকঃ
বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর প্রায় শেষের পথে। টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলার জন্য তামিম-মুশফিকরা এখন ক্রাইস্টচার্চে। সেখানে বড়সড় এক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে।

অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ওই মসজিদে নামাজ আদায়ে যান।এমন সময় ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না। ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তাঁরা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না।

শেষপর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই চলে যেতে পেরেছে নিরাপদ স্থানে। আজ সকাল বাংলাদেশ সময় আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ক্রাইস্টচার্চের হেগলি পার্কের পাশে আল নুর মসজিদে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির একটি টুইটার ভিডিও থেকে দেখা যায়, হামলার পরপরই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখা যায় পার্কের ভেতর দিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন।

তামিম ইকবাল টুইটারে লিখেছেন, ‘এইমাত্র গোলাগুলি থেকে বাঁচলাম পুরো দল। এটা একটা ভীতিকর অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ টুইটারে একই রকম অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন মুশফিকুর রহিম, ‘ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গোলাগুলি থেকে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। আমরা খুবই ভাগ্যবান। এই ধরণের ঘটনা আর দেখতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টেস্ট। কিন্তু এই ঘটনার পর ম্যাচটা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে জেগেছে সংশয়।

-আরবি

FacebookTwitter