অনলাইনঃ
১৩ মার্চ ২১০৯, ঢাকা, বাংলাদেশ: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্যে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রন সংস্থা আইসিসি এবং বিশ্বের জনপ্রিয় পানীয় কোম্পানী কোকা-কোলা একটি গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ করার ঘোষনা দিয়েছে। এই অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে কোকা-কোলা আগামী পাঁচ বছরের জন্য আইসিসি’র নন-অ্যালকোহলিক পানীয়ের অংশীদার হিসেবে থাকবে। এই পার্টনারশীপকে মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে কোকা-কোলা বাংলাদেশ “ইংল্যান্ডে যাও, স্টেডিয়াম মাতাও” শিরোনামে নতুন এই ক্যাম্পেইনের ঘোষনা দিয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের ফলে বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তরা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ মাঠে বসে সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন।
আজ ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশীদারিত্ব এবং ক্যাম্পেইনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সন্দ্বীপ বাজোরিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট- সাউথ ওয়েস্ট এশিয়া অপারেশানস, কোকা-কোলা; ক্যাম্পবেল জেমিসন, জেনারেল ম্যানেজার, আইসিসি, মোঃ আকরাম খান, পরিচালক ও চেয়ারম্যান, ক্রিকেট অপারেশনস, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড; মোহাম্মদ জালাল ইউনুস, পরিচালক ও চেয়ারম্যান, মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড; অজয় বাতিজা, কান্ট্রি হেড, কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই অংশীদারিত্বের বিষয়ে মন্ত্যবে ক্যাম্পবেল জেমিসন, জেনারেল ম্যানেজার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল বলেন, “কোকা-কোলা কে আগামী ৫ বছরের জন্য আইসিসির সহযোগী হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। পৃথিবীর শতকোটি মানুষের প্রিয় খেলা ক্রিকেটের সহযোগী হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্র্যান্ড কোকা-কোলা। আইসিসি বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট কে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি যে ক্রিকেটের সবগুলো বড় ক্রীড়া আসরের সাথে বিশ্বের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সব ফরম্যাটের ক্রিকেট আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।”
সন্দ্বীপ বাজোরিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাউথ ওয়েস্ট এশিয়া অপারেশানস কোকা-কোলা অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, “নারী-পুরুষ, সমাজ ও প্রজন্ম নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার সঙ্গে শতকোটি মানুষের আবেগ জড়িত। বিশ্বের জনপ্রিয় সব ক্রীড়া আয়োজনগুলোর সাথে আমাদের দীর্ঘ কালের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আইসিসির সাথে আমাদের এই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ খেলা প্রেমীদের জন্য কোকা-কোলার প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়ক হবে এবং তাদের উযপানকে আনন্দদায়ক করে তুলবে। ক্রিকেটপ্রেমী ভোক্তাদেরকে আরো আনন্দ দিতে এবং নতুন সব অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত করাতে আমাদের আকর্ষনীয় সব আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবো আগামী পাঁচ বছর।”
প্রথম ধাপে বাংলাদেশের ভোক্তাদের জন্য আন্ডার দ্যা ক্যাপ(ইউটিসি) ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় বাংলাদেশী ভোক্তারা কোকা-কোলার পিইটি বোতলের হলুদ রঙের ছিপির নিচে একটি মৌলিক কোড নাম্বার পাবেন। ইউটিসি ক্যা¤েপইনে অংশগ্রহণের জন্য অংশগ্রহনকারী ভোক্তাদের ০৯৬১ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে “মিসড কল” দিতে হবে। এরপর তারা একটি স্বয়ংক্রিয় কল রিসিভ করবেন বোতলের হলুদ ছিপিতে থাকা ১০-অঙ্কের কোড টাইপ করতে হবে কুইজে অংশগ্রহণের জন্য। কুইজে অংশগ্রহণকারীদের তিনটি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিনই একজন করে “সৌভাগ্যবান বিজয়ী” আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ এর টিকেট পাবেন কোকা-কোলা বাংলাদেশের সৌজন্যে। এর পাশাপাশি ৬০ জন করে সৌভাগ্যবান ভোক্তা প্রতিদিন নির্ধারিত ১২ ঘন্টা সময়ে জিতে নিতে পারবেন একটি করে স্মার্ট ফোন। এই ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ ২০১৯ থেকে ১৪ মে ২০১৯ পর্যন্ত চলবে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি হেড অজয় বাতিজা বলেন, “কোকা-কোলার হৃদয়জুড়েই রয়েছেন তার ভোক্তারা। কোকা-কোলা কোম্পানি ভোক্তাদের সাথে সর্ম্পক উষ্ণ রাখতে সবসময়ই নতুন নতুন সব ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে। ভোক্তাদের মধ্যে উৎসাহ এবং আনন্দকে আরো রাঙ্গিয়ে দিতেই আইসিসির সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্ব। এছাড়াও ক্রিকেটপ্রেমীরাও এই আনন্দ উপভোগ করতে ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।”
পাঁচ বছর মেয়াদী এই চুক্তির ফলে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ ছাড়াও ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আসন্ন অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ; আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি বিশ্বকাপের নন-অ্যালকোহলিক বেভারেজ পার্টনার থাকবে কোকা-কোলা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে এই অংশীদারিত্বের ফলে কোকা-কোলা এবং আইসিসি একে অন্যের ব্যাপ্তিকে আরও প্রসারিত করবে। বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলার ৫ শতাধিক ব্র্যান্ডকে ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি ক্রিকেটকেও বিশব্যাপী আরও জনপ্রিয় করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
-এসএম