অনলাইনঃ
ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি এলাকার বেদখল হওয়া খাল ও বিভিন্ন জলাধার পুনরুদ্ধারে দায়ীদের প্রথমে ভালোবাসা জানানো হবে।
তাতে কাজ না হলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খালের বর্তমান অবস্থা সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নবনির্বাচিত মেয়র জানান, ডিএনসিসির অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। তুরাগ, বুড়িগঙ্গা তীরে যেভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে ঠিক সেভাবে ডিএনসিসি এলাকার খাল, পানিপ্রবাহের স্থান দখলমুক্ত করা হবে। এ অভিযানে অবৈধ দখলকারী কেউ ছাড় পাবে না বলেও তিনি জানান।
মেয়র বলেন, আমি নগরবাসীর সেবায় প্রটোকল ভেঙে সর্বাত্মকভাবে কাজ করতে চাই। জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসার এমডিকে ডিএনসিসির সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। আজ খাল পরিদর্শনে আসার সময় ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী আমাদের সঙ্গে এসেছেন।
সবাই মিলে চেষ্টা করছি জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা হলেও নগরবাসীকে মুক্তি দিতে। বর্ষা মৌসুম কাছাকাছি চলে এসেছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কী কী করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো।
তিনি খালের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে বলেন, র্যাব-১ এর পেছনে, শায়েস্তা খান এভিনিউ, আশকোনা সড়ক, বনানীর মেট্রোরেল প্রকল্প এবং বাড্ডার সুতি খাল এলাকা পরিদর্শন করে আমি খালগুলোয় দেখলাম পানিপ্রবাহের জায়গায় ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন জিনিসের স্তূপ জমে রয়েছে। এগুলো পানির প্রবাহকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত করছে। পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে বর্ষার আগেই আমরা এসব খাল, নর্দমা পরিষ্কার ও খনন করে গভীরতা সৃষ্টি করবো। এ ছাড়া নগরীর দোকানে দোকানে ডাস্টবিন রাখতে বাধ্যতামূলক করবো। মেয়রের পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি ও ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-ডিকে