ফেসবুকে পরিচয়ে বিয়ে, পরিনতি খুন!

অনলাইনঃ
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চট্টগ্রামের শামীমের সাথে চার মাস আগে বিয়ে হয় বগুড়ার আশা আক্তারের। বিয়ের পর শামীমকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইকও কিনে দেন আশা আক্তার। কিন্তু কিছুদিন পর আশা আক্তার জানতে পারেন শামীম আগে বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে।

এদিকে শামীম আশাকে না বলে ইজিবাইক বিক্রী করে দিয়ে চট্টগ্রাম চলে আসে। এই দুই ঘটনায় ক্ষোভ জমে আশা আক্তারের মনে। শামীমকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামরে পাহাড়তলী থানার আব্দুল আলী নগর এলাকার একটি বাসা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই যুবকটিই ছিল শামীম।

কিন্তু এই হত্যাকান্ডের কোন সূত্র খুজে পাচ্ছিল না পুলিশ। তবে ঘটনার একদিন পর বাসার মালিকের মেয়ের মোবাইল নাম্বারের কললিস্ট থেকে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

সেই নম্বরের সূত্র ধরে আশা আক্তারের পরিচয়ও শনাক্ত করা হয়। একপর্যায়ে ফোন নাম্বার ট্র্যাকিং করে আশা আক্তারের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ আশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এমনকি আশা আক্তারের বাসা থেকে রক্তমাখা পোশাকও উদ্ধার করা হয়।

বুধবার সকালে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে আশা আক্তারের হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান।

তিনি বলেন, শামীম ফোনে আশা আক্তারকে চট্টগ্রাম চলে আসার জন্য বললে তিনি রাজি হয়ে যান। আশা আক্তার ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে আসলে তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন শামীম। এবং সেদিনই ওইদিন রাতে শামীমকে ঘুমের মধ্যে খুন করে বগুড়া পালিয়ে যান আশা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরিটি বগুড়া থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।

-ডিকে

FacebookTwitter