রাবি প্রতিনিধিঃ হল প্রাধ্যক্ষ বা কোন আবাসিক শিক্ষককে না জানিয়ে সিট দেওয়ায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে একটি হলের অনাবাসিক (অবৈধ) শিক্ষার্থীকে বের করে দেয় হল প্রশাসন। এ নিয়ে হল গেটে তালা দেওয়াসহ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাতে বিশ^বিদ্যালয়টির মতিহার হলে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর।
সূত্রে জানা যায়, হলের ১২০ নং রুমে সিট ফাঁকা হওয়ার খবর জেনে হল প্রাধ্যক্ষকে না জানিয়েই বিশ^বিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জনি মিয়াকে হলে তুলে দেন হল ছাত্রলীগ নেতা মোহন।
অবৈধভাবে শিক্ষার্থীকে হলে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগরের। পরে গত শুক্রবার বিকেলে হলের ১২০ নম্বর কক্ষ থেকে এক অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেন ওই শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় ওই কক্ষে তালা দিয়ে হল গেটে বিক্ষোভ করেন হল ও বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রক্টরের উপস্থিতিতে বিষয়টির সমাধান হয়।
হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান ও তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ তালা দেওয়ার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ছাত্রলীগের কর্মীকে হলে তুলে দিলে হলের প্রাধ্যক্ষ পুলিশ দিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে রুমে তুলে দেন।’
জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, হলে আবাসিকতা দিতে একটি নির্ধারিত নিয়ম আছে। আবাসিকতার নোটিশ দেওয়া হয়নি কিভাবে তারা শিক্ষার্থীকে হলে উঠায়। হল প্রশাসনকে না জানিয়ে কাউকে হলে তোলা নিয়মের মধ্যেও পড়ে না। তাই হলের আবাসিক শিক্ষকদের সাথে নিয়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়া হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে আবাসিকতা দিলে অন্যবর্ষের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।
এদিকে প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, হলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রাধ্যক্ষ অবৈধ শিক্ষার্থীকে বের করে দিতে পারেন এটি তার এখতিয়ার। ছাত্রলীগের ছেলেদের বলেছি প্রাধ্যক্ষের সাথে বসে বিষয়টির মিমাংসা করে নিতে। ছাত্রলীগের নেতাদের উচিত প্রাধ্যক্ষকে জানিয়ে হল অভ্যন্তরে যেকোন কাজ করা এবং প্রাধ্যক্ষকে সহযোগিতা করা।
-ডিকে