‘রাজনীতি থেকে মনে হয় বিদায় নিতে হবে, নায়ক নায়িকাদের এত ভিড়ে আমাদের আর দেখা পাওয়া কঠিন। আন্দোলন সংগ্রামের রোদে পোড়া শরীর এখন কিছুটা ভালো দেখতে হলেও নায়িকাদের রূপে বিলীন।’
কথাগুলো দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনের। অনেকটা অভিযোগ আর অভিমান থেকেই কথাগুলো নিজের ফেসবুক পেইজে লিখেছেন তিনি।
সেই স্ট্যাটাসে তুহিন লেখেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে এত লোক, বিরোধী দলে থাকতে তো দেখি নাই। মেয়েদের রাজনীতিতে কেবলই জ্বালা, নায়িকা জ্বালা। আবার মেয়ে হওয়ার জন্য পুরুষের চাইতে বেশি কাজ করলেও সাধারণ আসনে নমিনেশন দেয়া যাবে না। সরকারী দলের চাইতে তো বিরোধী দলেই ভাল ছিলাম, নিজেদের দল নিজেদের ছিল। এখন মহাবিপদ, আমাদের দল ছিনতাই করছে নায়িকা হাইব্রিড বিএনপি থেকে আমদানিকারীরা।’
সাবিনা আক্তার তুহিন দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দলের দুঃসময়ে কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন রাজপথে। বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে স্বৈরাচার বিরোধী নানা আন্দোলনে অংশ নিয়ে কঠোর ভুমিকার রাখার পাশাপাশি কারাবাসের শিকার হয়েছেন বহুবার।
জানা গেছে, নিজের শিশুকে বুকের দুধ খাওনোর সময় গ্রেপ্তার হয়ে শিশুকে দুধ না খাইয়েই জেলে যেতে হয়েছে তাকে। এই গুলি বেশিদিন আগের কথাও নয়। বিপুল কর্মী সমর্থকের সমর্থন ও প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদপুষ্ট হয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ নিযুক্ত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে মনোয়ন দাবি করেও বঞ্চিত হন তিনি।
-ডিকে