অনলাইনঃ
নারী বাইকচালক শাহনাজ আক্তার পুতুলের বাইক ছিনতাই করা জোবাইদুল ইসলাম জনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এসময় ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত কিনা ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম খান।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে স্কুটি মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে স্কুটি মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতারক জনিকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চুরি হওয়া স্কুটি মোটরবাইক ও আটক জনিকে ঢাকা এনে শেরেবাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে স্কুটি বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায় জনি নামের ওই যুবক। পরে ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহনাজ। জিডি নম্বর ৯১১।
জিডিটি পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা গেছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, স্কুটিটির মূল্য ৫৮ হাজার টাকা। জনি (২৭) নামে এক পাঠাওচালকের সঙ্গে পরিচয় হলে সে তাকে (শাহনাজ আক্তার) চাকরি দেওয়ার কথা বলে।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে খামারবাড়িতে চাকরির জন্য আসতে বলে। তবে চাকরির জন্য যার সাথে দেখা করানোর কথা ছিল সে আসেনি।
জনি তার (শাহনাজ আক্তার) সঙ্গে স্কুটিতে করে এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে শেরেবাংলা নগর থানার রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় চা পান করতে যায়। চা পান করার একপর্যায়ে শাহনাজকে স্কুটি চালানোর বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জনি। স্কুটি চালিয়ে দেখতে চায়। শাহনাজ তাকে স্কুটির চাবি দিলে জনি স্কুটি নিয়ে চলে যায়। এরপর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এক মাস ধরে মোবাইল উবারের মাধ্যমে মোটরবাইক চালাচ্ছেন শাহনাজ আক্তার। নারী হয়ে পুরুষদের নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে রাইড দেয়ায় সম্প্রতি ফেসবুক ও বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিবাচক প্রতিবেদন হয় তাকে নিয়ে।
শাহানাজের স্কুটি ছিনতাই হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার পক্ষে সরব হয়। সবাই তার স্কুটি উদ্ধারের দাবি জানায়।