অর্থনীতিঃ
আরও তিনটি বেসরকারি ব্যাংক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ। সভায় নতুন তিনটি বেসরকারি ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র দেয়া হতে পারে।
ব্যাংক তিনটিকে এলওআই দেয়ার সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ব্যাংক তিনটি হচ্ছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। নতুন ব্যাংক ছাড়াও আজকের পর্ষদ সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
গত ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে এলওআই দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। তবে পরবর্তী পর্ষদ সভা থেকে এলওআই ইস্যু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এছাড়া পর্ষদের ওই সভা থেকে পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংককে অনুমোদন দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ। ব্যাংক দুটির উদ্যোক্তাদের কিছু কাগজপত্রে ঘাটতি থাকায় তা সরবরাহ করতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে ব্যাংক দুটির উদ্যোক্তারা নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সভা থেকেই নতুন আরো তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে। এরপর ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।
কয়েকজন পরিচালক পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকার কথা জানালে সভাটি আর হয়নি। মূলত নতুন তিন ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার উদ্দেশ্যে ওইদিন পর্ষদের সভা হওয়ার কথা ছিল। পরে ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভা থেকে ব্যাংক তিনটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে।
এদিকে আজকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি অনুমোদন দেয়া হবে। একই সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন পরিস্থিতিও।
অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি প্রণয়নের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় হোটেল লেকশোরে দেশের অর্থনীতিবিদসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদসহ আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
বিদায়ী বছরের ৩১ জুলাই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথমার্ধের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বেসরকারি খাতে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মূলত তারল্য সংকটের কারণে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বিদায়ী বছরের ৩১ জুলাই ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথমার্ধের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বেসরকারি খাতে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মূলত তারল্য সংকটের কারণে অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
-আরবি