অনলাইনঃ শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নূরুদ্দীন আহমেদ অপুকে গ্রেফতার করেছে।
গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে অপুকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থেকে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা উদ্ধারের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১ জানুয়ারি কারাগারে পাঠায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য থেকেই র্যাব শুক্রবার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে মিয়া নূরুদ্দীন আহমেদ অপুকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, নির্বাচনের আগে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে টাকা পাচার করা হয়েছিলো। সেই সূত্র ধরে রাজধানীর মতিঝিলে সিটি সেন্টারের ২৭ তলায় ইউনাইটেড কর্পোরেশন অফিসে অভিযান চালিয়ে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে র্যাব। ওই ঘটনায় ইউনাইটেড কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী হায়দার, গুলশানে মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুর কোম্পানি আমেনা এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জয়নাল আবেদীন ও অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব মতিঝিল থানায় অবৈধ অর্থ পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় মিয়া নূরুদ্দীন আহমেদ অপু ৪ নম্বর আসামি। মামলার পর থেকে তাকে খোঁজা হচ্ছিল। শুক্রবার র্যাবের কাছে তথ্য আসে নুরুদ্দিন ইউনাইটেড হাসপাতালে আছেন। পরে সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নূরুদ্দীন অপু ইউনাইটেড হাসপাতালের ৫০৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। তাকে গ্রেফতার করায় তিনি সেখানেই র্যাবের প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকবেন।
এদিকে, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। টাকাগুলো কোথায় থেকে এসেছে, কার কাছে পাঠানো হয়েছে, কি কাজে ব্যবহার করা হতো ইত্যাদি বিষয় আমরা তদন্ত করব।
র্যাবের অপর একটি সূত্র জানায়, মতিঝিলের ইউনাইটেড কর্পোরেশনের মালিক মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (৩৫)। বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তমপুর গ্রামে। তিনি যুবদল দুবাই শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। দুবাই থেকেই তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। সর্বশেষ নভেম্বরে ঢাকায় এসেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠানটি থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দীন আহমেদ অপু একসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের মালিক তিনি। শরীয়তপুর-৩ আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২৬৬৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান পান।