অনলাইনঃ
বহুল আলোচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলা ভূক্ত আসামীরা হলেন, ওই কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।
পল্টন থানায় আত্নহত্যাকারীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে আজ এ মামলা দায়ের করেন। পল্টন থানার উপপরিদর্শক সুজন তালুকদার মামলার সত্মযতা স্বীকার করেন। রাত আনুমানিক ৮টার পর মামলাটি হয়েছে।
চলমান এ বিষয়টি নিয়ে ভিকারুন্নিসায় পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি চলছে।
ছাত্রীরা দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কাল বুধবার সকাল থেকে কলেজের ফটকে অবস্থান নেওয়া হবে বলে ছাত্রীরা জানায়।
এ ছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ ও শাখাপ্রধানের পূর্ণ বরখাস্ত, গভর্নিং বডি বাতিল, প্রচলিত আইনে অরিত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার স্কুলের বেইলি রোড শাখায় দিনভর আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাঁরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তিন দিনের কথা বলেছেন, এর মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা না হলে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় স্কুলের ১ নম্বর ফটকের সামনে তাঁরা অবস্থান নেবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার দিনভর বাইরে ছাত্রী-অভিভাবকদের বিক্ষোভের মধ্যেও পরীক্ষা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই কর্মসূচি ডেকে তাঁরা দিনের আন্দোলন শেষ করেন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে আজ দিনভর এখানে বিক্ষোভ হয়। দুপুরে কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও আন্দোলনে যোগ দিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। দুপুরের পর থেকে ছাত্রীদের একটি দল নিজেরাই থেমে থেমে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।
-আরবি