অনলাইনঃ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোটের দিন ‘ভোট কক্ষের ভেতরে ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ করা অপরাধ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এমন বক্তব্যের বিষয়ে আদালতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট।
একই সঙ্গে দলীয় আনুগত্য ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে দায়িত্ব পালন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, সবাই আশংকা করছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেয়া হবে। যদি বাধা দেয়া হয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে হবে। আমার অনুরোধ, ভোটারদের সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যেতে বলবেন, যেন নিজেদের ভোট দিতে পারেন।
বাধা দিলে আপনারা তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) সঠিক তথ্য প্রচার করবেন।
কোনো রকমে অবাধ নিরপেক্ষতার আইনের লংঘন করা হলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন, দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। মিডিয়াকে তা ধরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় এক ফটো সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ইসি তো ভোট কক্ষের ছবি বা ভিডিও ধারণ করা অপরাধ বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমন সিন্ধান্ত হলে আমাদের কাজ কি? এর জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা আসলেই নৈতিক একটা ব্যাপার। এটা সত্যিই আইনের শাসন যদি থাকে যে ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলো দেয়া হচ্ছে তা অপ্রত্যাসিত, অপ্রসাঙ্গিক। এটার ব্যাপারে আমরা দেখছি, যদি কোর্টেও যেতে হয়, যেতেও পারি। আমাদের আইনজীবীরা সব সময় প্রস্তুত থাকে। কোন সময় আইনের লংঘন হলে আমরা সে বিষয়ে সচেতন আছি। এজন্য আপনাদের (সাংবাদিকরা) কাছে সহযোগিতা চাই।
এই যে ছবি তোলার বিষয়টা এটা শুধু আপনার কথা বা দাবি নয়, এটা একটা উচিত কথা। আমিও মনে করি এটা উচিত কথা। এ সময় অনুষ্ঠানের সকল ফটো সাংবাদিক হাত তালি দিয়ে সমর্থন জানান ড. কামালকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (বীর প্রতীক) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মুনসুর।
-আরবি