ব্র্যান্ডঃ
জনপ্রিয় গ্লোবাল পেইন্ট কোম্পানি ও ম্যানুফ্যাকচারার এশিয়ান পেইন্টস সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ‘হ্যাপি হোম’ ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করে।
এবার সেই ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছে একশনএইড এর হাতে। সম্প্রতি একশনএইড বাংলাদেশ-এর ঢাকা অফিসে একশনএইড প্রতিনিধিদের হাতে অর্থ-অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন এশিয়ান পেইন্টস এর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান পেইন্টসের গ্লোবাল মার্কেটিং হেড, এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের মার্কেটিং হেড, একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং একশনএইড বাংলাদেশ ও এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গ।
পবিত্র রমজান মাস থেকে শুরু করে পবিত্র ইদুল-ফিতর পর্যন্ত আয়োজিত এই ক্যাম্পেইনে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশ-এর -এর ‘হ্যাপি হোম’কে সেইফ ইজিপেইন্টিং সার্ভিসের মাধ্যমে রাঙিয়ে দেওয়া হয় সেখানকার মেয়েশিশুদের জন্য।
সে সময় ক্যাম্পেইনে আরো ঘোষণা করা হয়- এশিয়ান পেইন্টস আল্টিমা ও রয়্যাল লাক্সারি ইমালশন রেঞ্জ-এর রঙের প্রতি লিটারের মূল্য থেকে ১ টাকা হ্যাপি হোম-এর মেয়েদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
এবার সেই প্রতিশ্রুত অর্থ একশনএইড বাংলাদেশ-এর ‘হ্যাপি হোম’কে প্রদানের মাধ্যমে অঙ্গীকার পূরণ করল এশিয়ান পেইন্টস।
দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও গৃহহীন মেয়েশিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে ‘হ্যাপি হোম।
হ্যাপি হোম সমাজের অবহেলিত মেয়েশিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি জীবনমুখী দক্ষতার উন্নয়ন ও নানান সৃজনশীল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এশিয়ান পেইন্টস প্রতিশ্রুতিশীল এই মেয়েদের একটি রঙিন স্বপ্ন উপহার দেবার অঙ্গীকার নিয়ে ‘হ্যাপি হোম’ ক্যাম্পেইন শুরু করে।
এরপর সেখানের শিশুদের ইচ্ছে অনুযায়ী ও তাদের পছন্দমতো রঙে দেয়ালগুলো রাঙিয়ে তোলেন- এশিয়ান পেইন্টস এর সেইফ ইজিপেইন্টিং সার্ভিসের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
হ্যাপি হোম এর কক্ষগুলো পেইন্ট করতে এসপিএস, স্মার্টক্লিন, রয়্যাল প্লে কিডস ওয়ার্ল্ড এবং প্রকৃতির মতো পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এশিয়ান পেইন্টস এর উদ্যোগে বিভিন্ন কারুকাজে আঁকা হ্যাপি হোম-এর রঙিন দেয়াল শিশুদের কল্পনাশক্তির বিকাশে সহায়ক হচ্ছে এবং তারা আরো তৃপ্তি নিয়ে প্রতিদিনের কাজগুলো করতে পারছে।
এশিয়ান পেইন্টস এর সেইফ ইজিপেইন্টিং সার্ভিসের মাধ্যমে মেয়েদের দেওয়া এই আনন্দদায়ক পেইন্টিং অভিজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যতেও আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রাণিত করবে।
এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এর নাজমুল হুদা নাইম, হেড- মার্কেটিং ও নিউ ক্যাটাগরি, বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত মেয়েশিশুদের কল্যাণে এই আর্থিক-সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের অভিনব এই ক্যাম্পেইনের অঙ্গীকার পূর্ণ করলাম।
‘হ্যাপি হোম’ ক্যাম্পেইনে গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সহযোগিতা করায় আমরা তাদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
ভবিষ্যতেও আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, “আমাদের কন্যাশিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে- তাদের রঙিন স্বপ্নগুলো পূরণে পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এশিয়ান পেইন্টস তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্য ব্যতিক্রমী সব ক্যাম্পেইন গ্রহণ করে চলেছে।
হ্যাপি হোম ক্যাম্পেইনটি ইতোমধ্যে আমাদের কন্যাশিশুদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
তাই একশনএইড বাংলাদেশ- এর পক্ষ থেকে এশিয়ান পেইন্টসসহ এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।
মেয়েশিশুদের কল্যাণে ভবিষ্যতেও আমরা আরো অভিনব সব উদ্যোগ গ্রহণ করব বলে আশাবাদী।”
-শিশির